‘জাতীয় সংস্কারক’ স্বীকৃতি পেতে আগ্রহ দেখাননি প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস সচিব

Published : ১৭:২০, ১৫ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'জাতীয় সংস্কারক' ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে গতকাল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেছেন।
এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জাতীয় সংস্কারক’ স্বীকৃতি পাওয়ার কোনো আগ্রহ দেখাননি বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রেস সচিব তার পোস্টে লেখেন, সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে দায়ের করা এক রিট আবেদনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। সরকার রুলের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর যথাসময়ে এ বিষয়ে উত্তর দেবে।
তিনি আরও লেখেন, সরকার এ বিষয়ে স্পষ্ট করতে চায়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এমন কোনো স্বীকৃতি পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেননি এবং সরকারও তাকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না।
মনে হচ্ছে, রিট আবেদনটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দায়ের করা হয়েছে এবং এতে নির্দেশনা চাওয়ার ভিত্তিও অস্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার (১৪ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ অন্যদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা না করার কারণও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব ও অর্থ সচিবকে রুলে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
বিডি/ও