দুর্গাপূজায় অষ্টমীতেও ছুটি ঘোষণার দাবি হিন্দু মহাজোটের

দুর্গাপূজায় অষ্টমীতেও ছুটি ঘোষণার দাবি হিন্দু মহাজোটের ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:০৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় অতিরিক্ত একদিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সরকারের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দুর্গাপূজার নবমী ও বিজয়া দশমী অর্থাৎ আগামী ১ অক্টোবর (বুধবার) ও ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) এই দুদিন সরকারি ছুটি রয়েছে।

তবে হিন্দু মহাজোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর সঙ্গে অষ্টমী অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরকেও সরকারি ছুটি ঘোষণা করা উচিত। এ নিয়ে এখনও সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়।

মহাজোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে বলেন, “দুর্গাপূজা আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এটি ৫ দিনব্যাপী চলে। অথচ সরকারি ছুটি থাকে মাত্র দুদিন। ফলে অনেক ভক্ত পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন না এবং অনেক ক্ষেত্রে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে অসুবিধা হয়। তাই আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, অন্তত তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হোক।”

তিনি আরও দাবি করেন, পূজার সময় সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে এবং প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজামণ্ডপে সরকারের খরচে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরি।

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মূল দাবিগুলো হলো-

১. দুর্গাপূজার অষ্টমী, নবমী ও দশমী - এই তিন দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
২. প্রতিটি মন্দিরে সরকারি অর্থায়নে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও পূজার কমপক্ষে ১০ দিন আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
৩. গত বছরের মতো এবারও সারাদেশে দুর্গাপূজার সময় সেনাবাহিনীর টহল নিশ্চিত করতে হবে।
৪. পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।

আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, দুর্গাপূজা কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসব। তাই পূজাকে ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধরসহ নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement