জামায়াতসহ কিছু দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: প্রিন্স

Published : ১৭:২১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল ও বিলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামি দল—এমন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, “ঐক্যমত কমিশনের বৈঠক চলাকালেই তারা রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা, সুযোগ পেলে পুরোপুরি নস্যাৎ করে দেওয়া। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের অবস্থাটা কী হবে—তা দেশবাসী জানে।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের মাধবপুর স্বপ্নীল কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) শেরপুর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “পিআর নিয়েও তাদের আন্তরিকতা নেই। সত্যিই যদি চেতনা থাকতো, তাহলে অনেক আগেই ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে নামাতো। কিন্তু তারা তা করেনি।”
প্রিন্স যোগ করেন, “হাটে, বাজারে, চায়ের স্টলে গিয়ে আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলি। কেউ পিআর শুনে ‘পেয়ালা’ বলে, কেউ আবার ‘পেয়ারা’। কেউ বুঝতেই পারে না এর অর্থ কী। আসলে তারা বিষয়টা উপলব্ধিই করতে পারেনি।”
তার দাবি, গত ১৫-১৬ বছরে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল, প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি। গণতন্ত্র তলানিতে নেমে গিয়েছিল, দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বৈরতন্ত্র ও লুটপাটের রাজত্ব।
“এখন স্বৈরাচারের পতনের পর জনগণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের এই নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে সফল হতে হবে, ভোটকে অর্থবহ করে তুলতে হবে,” যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
‘গাইবো মোরা গণতন্ত্রের গান, দুঃশাসনের হবেই অবসান’ স্লোগানে আয়োজিত এ কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা চৌধুরী বেবি।
এছাড়া বক্তব্য দেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেজ আলী মামুন, শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিয়াকত আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী ও যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।
জাসাসের স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আগত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
BD/AN