গত মৌসুমে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল। সেই অসাধারণ সাফল্যের প্রতিফলন দেখা গেছে এবার অনুষ্ঠিত ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার অনুষ্ঠানে।
ইউরোপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে সেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। কিলিয়ান এমবাপে এবং লামিনে ইয়ামালকে পেছনে ফেলে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি।
ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার অনুষ্ঠানে পিএসজির ট্যাকটিশিয়ান লুইস এনরিকেও সেরা কোচের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বার্ষিক বর্ষসেরা দলের ছয়জন খেলোয়াড়ই প্যারিস ক্লাবের হয়ে জায়গা করে নিয়েছে। পিএসজির হয়ে সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি পেয়েছেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা, যিনি বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলছেন।
পিএসজির হয়ে দেম্বেলের মৌসুমটি ছিল চমকপ্রদ। ক্লাবের প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের অভিযানে তিনি ছিলেন অন্যতম সেরা পারফর্মার। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় তিনি করেছেন আটটি গোল এবং ছয়টি অ্যাসিস্ট। ২০২৪-২৫ মৌসুমে তিনি মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা এবং লিগ ১ উভয় ক্ষেত্রেই মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। পিএসজির ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের পিছনে তার অবদানও অসামান্য। এছাড়া তিনি দলকে প্রথম ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যদিও ফাইনালে পিএসজি চেলসির কাছে হেরে যায়।
নারী ফুটবলে বার্সেলোনা ও স্পেন উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং উয়েফা ইউরো ফাইনালে হেরেছে, তবে বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি এই দুই প্রতিযোগিতার মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের পথে তার অনুপ্রেরণামূলক ভূমিকা বার্ষিক সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তাকে তৃতীয়বার নির্বাচিত করেছে।
বর্ষসেরা পুরুষ দলের নির্বাচনে পিএসজির আধিপত্য স্পষ্ট।
গোলরক্ষক হিসেবে দলে আছেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা।
ডিফেন্ডারদের মধ্যে স্থান পেয়েছেন আশরাফ হাকিমি, উইলিয়ান পাচো, ভার্জিল ফন ডাইক এবং নুনো মেন্ডেস।
মিডফিল্ডার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন কোল পামার, ভিতিনহা, পেদ্রি ও জুড বেলিংহাম।
ফরোয়ার্ড লাইনে আছেন উসমান দেম্বেলে ও লামিনে ইয়ামাল।
এছাড়া ক্লাব বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল বিজয়ী কোল পামার এবং স্প্যানিশ কিশোর সেনসেশন লামিনে ইয়ামালও বর্ষসেরা দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
এই স্বীকৃতি এবং পুরস্কারগুলো প্যারিস সেন্ট জার্মেইর গত মৌসুমের অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং ক্লাবের আধিপত্যকে বিশ্ব ফুটবল সম্প্রদায়ের কাছে দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করেছে।

































