ঠাকুরগাঁওয়ে সারের ডিলারশীপ বাঁচাতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

রাণীশংকৈলের পর এবার ঠাকুরগাঁও সদরের ১০ নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মুসতাক স্বীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা  নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলামের নিকট লিখিত পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

পদত্যাগের আবেদনে চেয়ারম্যান এসএম মুস্তাক লিখিতভাবে জানান যে, আমার নামে বিসিআইসির সারের ডিলারশীপ রয়েছে।সরকারের ঘোষিত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোন জনপ্রতিনিধি বিসিআইসির ডিলার হিসেবে থাকতে পারবেন না।এ কারণে প্রজ্ঞাপনের বিধি মেনে আামি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম চেয়ারম্যান মুস্তাকের সাক্ষরিত পদত্যাগপত্র গ্রহন করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: খায়রুল ইসলাম জানান, ১০ নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম মুস্তাকের পদত্যাগপত্র গ্রহন করা হয়েছে।তার পদত্যাগের বিষয়টি ডি্ডিএলজি মহোদয়কে লিখিতভাবে জানান হয়েছে।

সেই সাথে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব অর্পন করা হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুস্তাক জানান, আমি একমাত্র চেয়ারম্যান যিন জেলা প্রশাসনের বারবার তাগিদের মুখে পদত্যাগ পত্র জমা দিই।কিন্তু আমি আমার আবেদনে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি আমি বিসিআইসির একজন সার ডিলার।

সর্বশেষ ঘোষিত প্রজ্ঞাপনকে সম্মান দেখিয়ে পদত্যাগ করি।তবে আজ বৃহস্পতিবার  বিসিআাইসির ডিলারশীপ পেতে জনপ্রতিনিধি হওয়া যাবে না  সেই ধারাকে স্তগিত করেছে মহামান্য হাইকোর্ট।আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।

এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচিত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল দীর্ঘ ২০ বছরের পুরোনো বিএডিসির সার ডিলারশিপ বাঁচাতে গত ৪ ডিসেম্বর পদত্যাগের আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতিজা বেগম নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন।

কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বকুল জানান, গত ২৫ নভেম্বর সরকারের একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিএডিসি ও বিসিআইসির রাসায়নিক সার ডিলাররা জনপ্রতিনিধির পদে থাকতে পারবেন না। জনপ্রতিনিধি থাকলে ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে। এ নিয়ম কার্যকর হবে আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে।

তিনি আরও বলেন,২০ বছর ধরে যে ব্যবসা করে আসছি, সেটা হারাতে চাইনি। তাই স্বেচ্ছায় চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মেয়াদ বাকি ছিল মাত্র এক বছর।