ভিসতার এমডিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা

ভিসতার এমডিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৩:৫০, ৬ অক্টোবর ২০২৫

বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় ইলেকট্রিক পণ্য বাজারজাতকারী কোম্পানি ভিসতা’র চেয়ারম্যান-এমডিসহ শীর্ষ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ নূরুল হক মামলাটি করেন। নূরুল হক ভিসতা মালিকাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা বিজনেসের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। মামলার আসামিরা হলেন- ভিসতার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ঢাকা বিজনেসের প্রকাশক মো. লোকমান হোসেন আকাশ, ভিসতার চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিজনেসের উপদেষ্টা সম্পাদক সামছুল আলম এবং ভিসতার পরিচালক ও ঢাকা বিজনেসের সম্পাদক উদয় হাকিম।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ নূরুল হক ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিজনেসে যোগ দেন। বার্তা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করেছেন। কখনও ছুটি কাটাননি, এমনকি বছরে দুটি ঈদ, পহেলা বৈশাখসহ অন্যান্য উৎসব এবং জাতীয় দিবসেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তাকে দেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী কোনো ওভার টাইম পাওনা, ঈদ বোনাস ও উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। এজাহারে বলা হয়, মোহাম্মদ নূরুল হককে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত সাত মাস সময়ের মধ্যে মাত্র দুই মাসের বেতন দেওয়া হয়। বাকি পাঁচ মাসের বেতন দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে ৩০ মার্চ নূরুল হক চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। তবে তার বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করা হয়নি। পাওনা চেয়ে ২ জুলাই ভিসতার কাছে আইনি নোটিশ পাঠান ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব মেলেনি। এমনকি বেতন পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেয়নি ভিসতা।

মামলার বাদী মোহাম্মদ নূরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা বিজনেসের কাছে আমি পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পাব। এ ছাড়াও গত কয়েক বছরের চাকরিকালীন সময়ের ওভারটাইম, উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি আমি পাইনি। বেতন-ভাতাসহ শ্রম আইন অনুযায়ী ঢাকা বিজনেসের কাছে আমার ৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসতার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ঢাকা বিজনেসের প্রকাশক লোকমান হোসেন আকাশ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা নূরুল হককে ভিসতার অফিসে ডেকেছি, তার পাওনা বুঝে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আসতেছেন না। এখন তিনি যদি না আসেন তাহলে আমরা কিভাবে তার পাওনা বুঝে দেবো? তার চেক রেডি আছে।
এই বিষয়ে চেষ্টা করেও ভিসতার পরিচালক ও ঢাকা বিজনেসের সম্পাদক উদয় হাকিমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভিসতার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (অ্যাডমিন ) আশরাফুল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছি। বেতন পরিশোধের জন্য নূরুল হককে ডাকা হয়েছে কিন্তু তিনি আসছেন না। পাঁচ মাস নয়, কর্তৃপক্ষ তাকে ৩ মাসের বেতন দিতে চেয়েছেন। মামলার বাদী নূরুল হক এই বিষয়ে বলেন, “আমি বেতন চেয়ে বারবার তাগাদা দিয়েছি। কোনো সাড়া পাইনি। বেতন পরিশোধ না করে আমার সঙ্গে টালবাহানা করা হয়েছে। এমনকি অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলেও ভিসতার এমডি সাক্ষাৎ করেননি।
ভিসতার চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিজনেসের উপদেষ্টা সম্পাদক সামছুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যতদূর জানি ‘ঢাকা বিজনেস’ ভিসতার কোনো কনসার্ন প্রতিষ্ঠান নয়। এটি লোকমান হোসেন আকাশ ও উদয় হাকিম দেখতেন। তারা এটির সমাধান করবেন

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement