কিডনির সমস্যা বুঝবেন যেভাবে
Published : ১৬:৩০, ৯ অক্টোবর ২০২৫
শরীরের ভেতরে যখন কোনো অসুখ জন্ম নেয়, তা অনেক সময় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। বিশেষ করে কিডনির সমস্যা হলে বিষয়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে অনেক দেরিতে।
এ কারণেই কিডনির রোগকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। বিকল হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও কিডনি তার কাজ চালিয়ে যায়, যেন কিছুই হয়নি। অথচ নিঃশব্দে এই রোগ শরীরে জায়গা করে নেয় এবং ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
আমাদের শরীরে রক্ত পরিশোধনের মূল দায়িত্বে থাকে কিডনি। এটি শরীরের একপ্রকার প্রাকৃতিক ফিল্টার—রক্ত পরিষ্কার করে, টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়, লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে, এমনকি রক্ত তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। কিন্তু যখন কিডনি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, তখন শরীর আগে থেকেই কিছু সতর্ক সংকেত দিতে শুরু করে।
কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে শরীরে ব্যথা সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু স্থানে অনুভূত হয়। ব্যথার ধরন ও তীব্রতা নির্ভর করে সমস্যার প্রকৃতির ওপর।
কিডনি সমস্যায় সাধারণত ব্যথা হয় যেসব স্থানে:
পিঠের উপরের অংশে (ফ্ল্যাঙ্ক পেইন)
মেরুদণ্ডের দু’পাশে, কোমরের উপরের অংশে (পাঁজরের নিচে)
একপাশে বা উভয় পাশে ব্যথা হতে পারে
কোমরের নিচের অংশে
পেটের পাশে, বিশেষ করে সংক্রমণ বা ফোলাভাব থাকলে
তলপেট ও মূত্রথলিতে (বিশেষত কিডনিতে পাথর নেমে এলে)
কুঁচকি ও উরুর দিকে, যখন পাথর নিচে নেমে আসে
? কিডনি সমস্যার অন্যান্য উপসর্গ:
প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা অস্বস্তি
ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
প্রস্রাবে রক্ত বা ফেনা দেখা
হাত-পা ও চোখের চারপাশে ফোলা
জ্বর, বমি বা ঠান্ডা লাগা (সংক্রমণের ক্ষেত্রে)
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনির যেকোনো সমস্যা শুরুর দিকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ব্যথা, ফোলা বা প্রস্রাবের অনিয়মের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত পরীক্ষা করানো জরুরি। আগেভাগে শনাক্ত করা গেলে এই নীরব ঘাতককে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বিডি/এএন

































