মোহাম্মদপুরে জোড়া খুন: জানা গেল মূল আসামির বাড়ি কোথায়

মোহাম্মদপুরে জোড়া খুন: জানা গেল মূল আসামির বাড়ি কোথায় ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৪:২৯, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আয়েশাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করে জানায়, বরিশালের নলছিটি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে গৃহকর্মী পরিচয়ে বাড়িতে কাজ করা আয়েশা লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করে পালিয়ে যান। সেদিন সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে লিফটে সপ্তম তলায় উঠতে দেখা যায় তাকে।

পরে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মুখে মাস্ক, কাঁধে ব্যাগ এবং স্কুল ড্রেস পরে ভবন থেকে বেরিয়ে যান তিনি। নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

মাত্র চার দিন আগে লায়লা আফরোজের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেন আয়েশা। প্রতিদিনই বোরকা বা মুখ ঢাকা অবস্থায় আসা–যাওয়া করতেন, ফলে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে তাঁর মুখ স্পষ্টভাবে ধরা যায়নি। নিহত লায়লা ও তাঁর কিশোরী মেয়ে ছাড়া আর কেউ তাঁর মুখ দেখেননি, তাই নাম–পরিচয়সহ ব্যক্তিগত তথ্য বের করতেও বেশ বেগ পেতে হয় তদন্তকারীদের।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে শিক্ষক আজিজুল ইসলাম কর্মস্থল উত্তরায় রওনা হন। সেখানে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন হন তিনি। পরে সকাল ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন, স্ত্রী লায়লা আফরোজ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন, শরীরজুড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত। বাসার গেটের কাছে মেয়ে নাফিসাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আজিজুল ইসলাম নিশ্চিত হন যে আয়েশাই সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন এবং ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বেরিয়ে যান। বের হওয়ার সময় তিনি বাসা থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে যান।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অজ্ঞাত সেই নারীকে একমাত্র আসামি করে সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন আজিজুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ভবনের একজন নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদে নেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, চার দিন আগে এক নারী কাজের খোঁজে ভবনের সামনে এলে লায়লা আফরোজের পরিবারের অনুরোধে তাকে বাসায় নিয়ে যান। তবে তার সঙ্গে ওই নারীর আগের কোনো পরিচয় ছিল না।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement