মোহাম্মদপুর হত্যার প্রধান আসামি সম্পর্কে নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

মোহাম্মদপুর হত্যার প্রধান আসামি সম্পর্কে নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৫:১৯, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে মা ও মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন গৃহকর্মী আয়েশাকে অবশেষে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে—এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ সূত্র।

তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা জানান, তদন্তের অগ্রগতির অংশ হিসেবে প্রথমে ঢাকার সাভার থেকে আয়েশার স্বামীকে আটক করা হয়। তার জবানবন্দি ও দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে নলছিটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

পুলিশ জানায়, শুরুতে মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ ক্লুলেস এক ডাবল মার্ডার। তদন্ত চলাকালে জানা যায়, ঘটনার ছয় মাস আগে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি বাসায় চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল আয়েশা। সেই তথ্য নতুন করে সন্দেহকে গাঢ় করে।

গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে ১৪ তলা ভবনের সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার কিশোরী মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫)-এর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই নিহত লায়লার স্বামী আজিজুল ইসলাম থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাদা সালোয়ার-কামিজ ও কেডস পরা এক তরুণী সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে শান্তভাবে ভবন ত্যাগ করছে। মুখে মাস্ক, পিঠে ব্যাগ—ফুটেজ দেখে প্রথমে তাকে চিহ্নিত করা কঠিন হলেও পরবর্তীতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এ তরুণীই গৃহকর্মী আয়েশা। হত্যার পর নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে ভবন থেকে বেরিয়ে যায় সে।

আয়েশাকে ধরতে পুলিশ সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। সে একের পর এক অবস্থান পরিবর্তন করায় গ্রেপ্তারে সময় লাগলেও শেষ পর্যন্ত বুধবার ভোরে নলছিটি থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ঘটনার সময় বাসার প্রধান ফটকে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজকে মারাত্মক জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর আয়েশাকে ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। হত্যার পেছনে তার একার ভূমিকা নাকি আরও কেউ যুক্ত আছে—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যার উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, সব ধরনের সম্ভাবনা যাচাই করছে তদন্তকারী দল।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement