মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় ইসরায়েল: ইরান

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় ইসরায়েল: ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

Published : ১৪:০৬, ১৫ জুলাই ২০২৫

মুসলিম বিশ্বকে দুর্বল করার লক্ষ্যে অর্জনে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েল। এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েল নিরন্তর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজনের বীজ বপন করে চলেছে। মুসলিম দেশগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চায় ইসরায়েলি শাসক।

গতকাল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির সঙ্গে বৈঠকে পেজেশকিয়ান মত দেন, মুসলিম বিশ্বের রাজনীতিবিদ ও শীর্ষ নেতাদের উচিত ইসরায়েলের জায়নবাদি শাসকের এই কূট-কৌশলের বিষয়ে সতর্ক থাকা। এর পাল্টা জবাব দিতে নিজেদের মধ্যে ঐক্যমত্য ও সমন্বয় সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। 

পেজেশকিয়ান বলেন, ইসরায়েলের অন্যতম লক্ষ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের অবমাননা করা ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগ ছিন্ন করা। তিনি এই অশুভ কৌশলের বিরুদ্ধে নেতা ও নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।  

এ সময় তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, নিজেদের মধ্যে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে এই কৌশলকে বানচাল করতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, মুসলিম বিশ্ব এখন এক ক্রান্তিলগ্নে রয়েছে। এই জটিল পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে দেশগুলোর একাত্ম না থাকার কোনো বিকল্প নেই।

বৈঠকে ইরান-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন পেজেশকিয়ান।

তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরে নিয়ে যেতে কূটনীতিক সফর-বিনিময় ও গঠনমূলক আলোচনার ওপর গুরুত্ব দেন। 

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ১২ দিনের আগ্রাসনে তেহরানের পাশে থাকার জন্য ইসলামাবাদকে অশেষ ধন্যবাদ জানান পেজেশকিয়ান।

তিনি উল্লেখ করেন, ২ দেশের সম্পর্ক সম্প্রসারণের আরও অনেক সুযোগ আছে এবং তেহরান এসব সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে আগ্রহী।

জবাবে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বলিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে ইরানকে সম্মান ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। নাকভি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে 'জয়ী' হওয়ার জন্য ইরানকে অভিনন্দন জানান। 

নাকভি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, আয়াতুল্লাহ খামেনির বিজ্ঞ নেতৃত্ব ও মহামান্য প্রেসিডেন্টের কৌশলগত ব্যবস্থাপনা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এটা এমন এক অর্জন যা সমগ্র মুসলিম উম্মাহ'র জন্য গর্বের বিষয়।'

তিনি উল্লেখ করেন, জায়নবাদিদের হামলার পর দ্রুততম সময়ে ইসরায়েলের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। সবচেয়ে প্রথম যে কয়টি দেশ নিন্দা জানায়, তার মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম বলে মন্তব্য করেন নাকভি। ইরানের নিজেদের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার আছে বলেও জানান তিনি।

নাকভি বলেন, ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে অনন্য সম্পর্ক আছে যা ধারাবাহিকভাবে আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ২ দেশের রাষ্ট্রদূতরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার জায়গাগুলোকে আরও বলিষ্ঠ করার জন্য কাজ করছেন।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement