পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদে লতিফাবাদ এলাকায় একটি অবৈধ আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে আরও ছয়জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ে এবং আগুন ছড়িয়ে যায়। লতিফাবাদ সহকারী কমিশনার সাউদ লুন্দ প্রথমে দুজনের মৃত্যুর খবর জানান, কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে থাকায় নিহতের সংখ্যা পরে সাতজন পর্যন্ত বেড়ে যায়।
হায়দরাবাদের মেয়র কাশিফ আলী শোরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সহকারী কমিশনার সাউদ লুন্দ জানান, ওই বাড়িতে লাইসেন্সবিহীনভাবে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল। বিস্ফোরণে যে কক্ষে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল, সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো ঘর এবং সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। জানা গেছে, ঘরে কয়েকজন শিশুসহ শ্রমিকরা কাজ করছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আগুন পাশের অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের দল এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।
সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ বিস্ফোরণের বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন। তাঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কেও অডিটের নির্দেশ দিয়েছেন এবং যারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, চলতি বছরের আগস্টে করাচির সাদ্দারে একটি আতশবাজি গুদামে একই ধরনের বিস্ফোরণে ছয়জনের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন আতশবাজি কারখানাগুলোর উপর নজরদারি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
এভাবে, হায়দরাবাদে অবৈধ আতশবাজি উৎপাদন কার্যক্রমের কারণে মানুষ এবং শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন হওয়ার ঘটনা আবারও সামনে এসেছে।































