‘নেগ্রেয়রা কেস’ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে টানাপোড়েন চলে আসছে। এই বিতর্কে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করলেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।
মাদ্রিদের অ্যাসেম্বলিতে তিনি জানান, গত ১৭ বছর ধরে রেফারি কমিটির গুরুত্বপূর্ণ এক কর্মকর্তাকে ৮ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ দিয়েছে বার্সেলোনা।
রিয়ালের এই অভিযোগের আগে এবং পরে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘কনসালটেন্সি’ ফি বাবদই দেওয়া হয়েছে এনরিকেজ নেগেরেইরাকে। তবে রিয়ালের সভাপতির এই বক্তব্যের তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া জানান কাতালান ক্লাবের সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা।
নেগ্রেয়রা কেস এখনও বিচারাধীন থাকলেও এটি যেন ফুটবল বিশ্বের একটি আগ্নেয়গিরীর মতো, যা প্রায়ই আগুন ও লাবা ছুঁড়ে সমর্থকদের হৃদয় পুড়িয়ে দেয়। রিয়াল-পার্শ্বের নতুন অভিযোগে আবারও এই বিতর্ক জ্বলে উঠেছে।
মাদ্রিদের অ্যাসেম্বলিতে পেরেজের বক্তব্যের জবাবে লাপোর্তা বলেন, "আমি এখন আন্দোরায় অবস্থান করছি। মাদ্রিদের অ্যাসেম্বলি নিয়ে মন্তব্য করার সময় পাইনি। তবে বলতে চাই, রিয়ালের কথাগুলো সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আমি মনে করি, এটি বার্সেলোনার প্রতি রিয়ালের বাড়তি আবেগ প্রকাশের একটি প্রয়াস।"
তিনি আরও বলেন, "মনে হচ্ছে রিয়াল বার্সেলোনার বিষয়ে কিছু যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাই বারবার ‘নেগ্রেয়রা কেস’-এর আইনি প্রক্রিয়ায় বার্সেলোনাকে জড়াচ্ছে। এটা শুধু সময় নষ্ট করার মতো, কারণ এতে কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই।"
লাপোর্তা আরও যোগ করেন, "এটি রিয়ালের পক্ষ থেকে বানোয়াট ও ভুল প্রমাণ দেখানোর চেষ্টা মাত্র। বার্সেলোনা কখনো রেফারিদের ঘুষ দেয়নি। বরং রেফারিরা প্রায়ই মাদ্রিদের পক্ষে সুবিধা দেয়, যা বার্সেলোনার খেলার স্বাভাবিক ধারাকে প্রভাবিত করে।"
পেরেজের মন্তব্যের বিপক্ষে উদাহরণ দিতে গিয়ে লাপোর্তা বলেন, "গত সপ্তাহে মাদ্রিদ দুটি গোল করেছে যা হওয়ার কথা ছিল না। এই দুটি গোল না হলে, এখন বার্সেলোনা লিগে শীর্ষে থাকত।"
তিনি আরও বলেন, "২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনা বিশ্বের সেরা দল হিসেবে শীর্ষে ছিল। রিয়াল হয়তো এটা পছন্দ করে না। সেই সময় বার্সেলোনা আধিপত্য বিস্তারকারী দল ছিল এবং রিয়াল এখন সেই অতীতকে অস্বীকার করতে নানা অজুহাত খুঁজছে।"
