ভূমিকম্পের পর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্পের পর এবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট দুর্বল নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ’-এ পরিণত হয়েছে, যা আগামীকাল সোমবার নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শক্ত সম্ভাবনা

পলাশ জানান, সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৬–২৭ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে) একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এই লঘুচাপটি ধীরে ধীরে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বিষয়ে সব মডেল একমত হলেও এর শক্তি কতটা হবে এবং কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে—এ নিয়ে মডেলভেদে পূর্বাভাসে ভিন্নতা রয়েছে। পলাশের মতে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত যেকোনো স্থানে এটি আঘাত হানতে পারে।
২৬ নভেম্বরের পর ঘূর্ণিঝড়ের পথ ও শক্তি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

কৃষকদের জন্য জরুরি পরামর্শ

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাই পাকা আমন ধান দ্রুত কেটে মাড়াই শেষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শীতকালীন শাকসবজি চাষিদের বীজ বোনা ও সেচের প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।

২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকতে পারে।

সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য সতর্কবার্তা

১ ডিসেম্বরের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হতে পারে।
তাই সমুদ্রে থাকা সব ট্রলারকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩০ নভেম্বরের পর নতুন করে সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা

১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ–সেন্টমার্টিন রুটের সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকতে পারে।এই সময়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছ