শীতে ঠান্ডা পানির গোসলে যাদের সতর্ক থাকা উচিত

শীতে ঠান্ডা পানির গোসলে যাদের সতর্ক থাকা উচিত ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:৩৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশে ধীরে ধীরে শীত বাড়ছে। এই সময়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা অনেকের কাছেই কঠিন হয়ে ওঠে। অনেকের ধারণা, শীতের সকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে অসুস্থ হওয়া সহজ। এ প্রসঙ্গে মত জানিয়েছেন ডা. নাগপাল।

তার মতে, অধিকাংশ মানুষের জন্য ঠান্ডা পানিতে গোসল ঝুঁকিহীন হলেও এটি পুরোপুরি নির্ভর করে শরীর কতটা ঠান্ডা সহ্য করতে পারে তার ওপর। যারা নিয়মিত ঠান্ডা পানি ব্যবহার করেন, তাদের দেহ সহজেই তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু যাদের এমন অভ্যাস নেই, তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শ শরীরে শক তৈরি করতে পারে।

এতে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা বা দেহের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ার মতো প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজন হলে প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল শুরু করে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানিতে অভ্যস্ত হওয়াই উত্তম।

সবাইয়ের জন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল উপযোগী নয়। বিশেষ করে হৃদরোগী, উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তি কিংবা শ্বাসকষ্টে আক্রান্তদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, কারণ ঠান্ডা পানি তাদের হার্টরেট বা রক্তচাপ হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে, ঠান্ডা পানিতে দাঁড়ালে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। এ কারণে তাদের ঠান্ডা পানি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

শীতকালে গরম না ঠান্ডা—কোন পানি ভালো?
ডা. নাগপাল জানান, গরম এবং ঠান্ডা—দুই ধরনের পানিরই আলাদা সুফল রয়েছে। গরম পানি পেশি শিথিল করে, জোড়ার ব্যথা কমায় এবং শীতে আরাম দেয়। অন্যদিকে ঠান্ডা পানি রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে।

তিনি পরামর্শ দেন, শরীরকে অতিরিক্ত চাপে না ফেলে প্রথমে গরম পানিতে গোসল শুরু করে শেষে অল্প সময়ের জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে উভয় ধরনের গোসলের সুফল পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, শীতের সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে, তবে নিয়ম মেনে করলে এটি শরীরকে উদ্যমী অনুভূতি দিতে পারে। নিজের শারীরিক সক্ষমতা বুঝে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানির সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সঠিক পথ।

সূত্র: অনলি মাই হেলথ

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement