যে ভাবে দাম্পত্য জীবনে সুখী হবেন

যে ভাবে দাম্পত্য জীবনে সুখী হবেন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০৫:৩৭, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

দাম্পত্য জীবনকে সুখী করতে মানুষ নানাভাবে চেষ্টা করে থাকে। তবুও প্রায়শই শোনা যায় সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কথা।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে—একটি সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে কি সত্যিই অনেক অর্থ, সম্পদ বা বিলাসিতা দরকার? বাস্তবে দেখা যায়, কিছু সহজ অভ্যাস ও আচরণই দাম্পত্য জীবনে সুখ আনতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক—দাম্পত্য জীবনকে আনন্দময় ও স্থায়ী রাখতে যে ১০টি উপায় কার্যকর হতে পারে:

পরস্পরের প্রশংসা করা:
সুখী দম্পতিরা জানেন, প্রশংসা একটি সম্পর্ককে কোমল ও শক্তিশালী করে। তাই প্রতিদিনই সঙ্গীকে ইতিবাচক কিছু বলুন, তাকে জানান তিনি আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

জড়িয়ে ধরা:
ভালোবাসার মানুষকে সময় নিয়ে জড়িয়ে ধরলে সম্পর্কের টানাপোড়েন কমে যায়। দীর্ঘ একটি আলিঙ্গন দুজনের মনকে হালকা করে এবং দূরত্ব কমায়।

একসঙ্গে ব্যায়াম করা:
সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। তবে দম্পতি হিসেবে একসঙ্গে ব্যায়াম করলে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়, পাশাপাশি মানসিক শক্তিও বাড়ে।

পরস্পরের সঙ্গে মজা করা:
হাসি–ঠাট্টা সম্পর্ককে প্রাণবন্ত রাখে। খুনসুটি বা হালকা রসিকতা দাম্পত্য জীবনে স্বস্তি আনে, তবে অবশ্যই এমনভাবে করতে হবে যেন কাউকে আঘাত না লাগে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা:
দুইজন মিলে আগামীর পরিকল্পনা করুন। হোক সেটা সংসারের ভবিষ্যৎ, সন্তান, ভ্রমণ কিংবা জীবনযাপনের কোনো লক্ষ্য—একসঙ্গে স্বপ্ন দেখার মধ্যেই সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয়।

স্বতঃস্ফূর্ত থাকা:
পরিকল্পনা অবশ্যই ভালো, তবে সব কিছু কঠোরভাবে অনুসরণ করলে সম্পর্ক ভারী হয়ে যায়। তাই বর্তমানে বাঁচুন এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলোকেও স্বাভাবিক ছন্দে এগোতে দিন।

একে অপরের সঙ্গে স্বস্তি পাওয়া:
সুখী দম্পতিরা জানেন, কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানো কত জরুরি। প্রয়োজন হলে সঙ্গীকে সহায়তা, সাহস ও সমর্থন দিতে তারা সবসময় প্রস্তুত থাকেন।

শুনতে জানা:
যখন সঙ্গী কথা বলেন, তখন মনোযোগ দিয়ে শোনা দাম্পত্য জীবনে বড় ভূমিকা রাখে। বাধা না দিয়ে তার কথা শোনার পর নিজের মতামত জানান, তাতেই সম্পর্কের যোগাযোগ শক্তিশালী হয়।

মাঝে মধ্যে বাইরে যাওয়া:
গুণগত সময় কাটানোর জন্য বাইরে কোথাও একসঙ্গে ঘুরে আসা খুবই কার্যকর। এটি দুজনকেই একঘেয়েমি থেকে মুক্ত করে এবং নতুন উদ্দীপনা দেয়।

স্বাধীনতা দেওয়া:
সঙ্গীর ব্যক্তিগত সময়টুকুও গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি যেন নিজের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করুন। একই স্বাধীনতা আপনিও উপভোগ করুন।

শেষ দিন পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার মানসিকতা:
সারা জীবন পাশাপাশি থাকার ইচ্ছে ও বন্ধুত্ব ধরে রাখার আগ্রহই একটি সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করে। পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতি এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement