৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি

Published : ২০:৫০, ১১ আগস্ট ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকছে না। তবে ভোটে ‘না’ ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
সোমবার (১১ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচন কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফলাফল বাতিল করার ক্ষমতা রাখবে। ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যেখানে একজন প্রার্থী থাকলে বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না।”
তিনি আরও জানান, ভোটের ফলাফলে যদি সমান ভোট পড়ে তবে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে না, বরং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে জোট প্রতীকে অংশগ্রহণ করলে সংশ্লিষ্ট দলগুলো তাদের নিজস্ব প্রতীকে ভোট করাবে। এছাড়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করার ক্ষমতা কমিশনের থাকবে।
এদিনের বৈঠকে নির্বাচনী আচরণবিধি ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের জন্য একগুচ্ছ সুপারিশও চূড়ান্ত করা হয়। নতুন খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে স্বশাসিত বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার ‘না’ ভোট প্রবর্তিত হয়েছিল। তখন ভোটাররা মোট ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না’ ভোট প্রদান করেছিল।