মাত্র ২০% ভোটারেই কি বাংলাদেশ ই-কমার্সের আগামী নেতৃত্ব?

মাত্র ২০% ভোটারেই কি বাংলাদেশ ই-কমার্সের আগামী নেতৃত্ব?

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা

Published : ১৭:৫১, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের ২৮৪২ জন মেম্বার, সাড়ে তিন লাখ ই কমার্স উদ্যোক্তা, যার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির মার্কেট সাইজ বেশ দ্রুত বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছে, তবে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

* ২০২৪ সালের  আনুমানিক বাজার মূল্য: প্রায় $৭.৫ বিলিয়ন থেকে $৯ বিলিয়ন (বিভিন্ন রিপোর্টের গড়)।
* প্রবৃদ্ধির হার: বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৮.৩৩% থেকে ১২.৮৪% ধরা হচ্ছে।
* ২০২৮ সালের আনুমানিক বাজার মূল্য: ধারণা করা হচ্ছে এই মার্কেট $৯.৭৫ বিলিয়ন থেকে $১২.৪৪ বিলিয়ন এ পৌঁছাবে।
* কম্পাউন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ রেট (CAGR): ২০২৪ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে এই হার ৬.৭% থেকে ১২% এর মধ্যে থাকতে পারে।

অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

* একটি সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেট ৪৫০ বিলিয়ন টাকা এবং ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ৫০০ বিলিয়ন টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

* আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল নাগাদ এই বাজার ১.৫ ট্রিলিয়ন টাকায় পৌঁছাতে পারে।

উল্লেখ্য, এই সংখ্যাগুলো বিভিন্ন গবেষণা এবং পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। বাজারের প্রকৃত আকার আরও কিছুটা কমবেশি হতে পারে। তবে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি একটি শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পথে রয়েছে।"

এইরকম একটা শক্তিশালী অবস্থায় একটা সেক্টরের অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার সংখ্যা মাত্র ৫০২ জন যা টোটাল মেম্বারের আনুমানিক ১৭% এর মত। যা সত্যিই দেখতে, বুঝতে গ্রহণযোগ্য হতে কষ্ট হয়। এত বড় একটা ইন্ডাস্ট্রির লিডাররা মাত্র ১৭% ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করে ইন্ডাস্ট্রি লিডার হবেন সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক নয় কি? 

হিসাবে হিসাব মতে ৫০২ জন ভোটারের মধ্যে যদি একের অধিক প্যানেল হয় তাহলে ক্যান্ডিডেট ছাড়া  ২০% এর অধিক ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন কিনা সন্দেহ, সেই ক্ষেত্রে ১০০ এর অধিক  ভোটারের বেশি কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন না। কেননা  অধিকাংশ ভোটার এই নির্বাচনকে গুরুত্বহীনই মনে করবেন।  

এটা কোনভাবেই এটা ইনক্লুসিভ নির্বাচন না, যেখানে অধিক সংখ্যক মেম্বারের প্রতিনিধিত্ব নাই, সেখানে এটা একটা দায়সারা নির্বাচন, কারো কারো জন্য হয়তো এটা বিশাল সুযোগ অল্প সংখ্যক ভোটারের ভোট পেলেই নেতৃত্বের পর্যায়ে যেতে পারবেন যেটা একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচন হলে কখনোই সম্ভব হতো না। 

এরকম একটা নির্বাচন হলে, সরকার, অংশীজন এবং আইটি ইন্ড্রাস্ট্রির অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনের এর কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা আমরা হারাবো।আন্তর্জাতিকভাবে তো বটেই। 

নির্বাচন পেছানো হলে, একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় নেয়া প্রয়োজন, যত বেশি সংখ্যক মেম্বার ভোটার হতে পারবেন সেই সময়টুকু অবশ্যই লাগবে। না না কারণে হয়তো অনেকেই মেম্বারশিপ রিনিউ করেননি বা ভোটার হতে পারেননি, কিন্তু নির্বাচন পেছানো হলে অবশ্যই ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এতে অংশগ্রহণ করবেন। 

এইরকম একটা সার্কাজম থেকে আমি মনে করি আমাদের মুক্ত হওয়া উচিত।

লেখক: ফাউন্ডার কিনলে ডটকম, ইমেইল : [email protected]

শেয়ার করুনঃ
Advertisement