মামলার বার্তা যাবে মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপে

Published : ০০:০৩, ৭ মে ২০২৫
দেশের দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘদিনের জটিলতা ও সময়ক্ষেপণ অবসানের পথে বড় এক ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। উপদেষ্টা পরিষদ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সিভিল প্রসিডিউর অ্যাক্ট’র (দেওয়ানি কার্যবিধি), যা দেশের দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, মামলার শুনানি ইচ্ছেমতো মুলতবি করা যাবে না; সর্বোচ্চ চারবার পর্যন্ত মুলতবি করার সুযোগ থাকবে। এর ফলে অযথা সময়ক্ষেপণ ও হয়রানি কমবে। আরজি (পিটিশন) ও রিটেন স্টেটমেন্ট লিখিত আকারে দেওয়ার পর আর তা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে না, যা শুনানির সময় কমিয়ে আনবে। সিভিল মামলায় রায় পাওয়ার পর আলাদাভাবে এক্সিকিউশন মামলা করার প্রয়োজন আর থাকবে না। এর ফলে রায় কার্যকরের গতি বাড়বে।
সমন জারি সহজ করতে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো যাবে এবং এর রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে, যা মামলার পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত করবে। তিনি আরও বলেন, নতুন আইনের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তির সময় প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। যেমন, আগে যেখানে একটি মামলা নিষ্পত্তিতে পাঁচ বছর লাগত, সেখানে এখন সময় আড়াই বছরে নেমে আসবে; দুই বছর লাগত যেখানে, তা এক বছরে শেষ হবে। তিনি বলেন, ৬-৭ বার শুনানির নামে যে হয়রানি চলত, তা এবার বন্ধ হবে। এক সমন জারিতেই যে বিপুল সময় লাগত, তাও কমিয়ে আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
এনই