ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান।
দীর্ঘ এই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অংশগ্রহণ কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। তবু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী। মাগুরা-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষের দিকে হলেও দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে রাজনীতি চালিয়ে যেতে তিনি আগ্রহী।
বর্তমানে সাকিব সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি–টোয়েন্টি লিগে অংশ নিচ্ছেন। সেখানেই ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামের এক পডকাস্টে তিনি নিজের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব জানান, তার ক্রিকেটীয় অধ্যায় প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক যাত্রা এখনো শুরু বলতে গেলে বাকি।
তিনি বলেন, তিনি সবসময়ই দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছেন, বিশেষ করে মাগুরাবাসীর প্রতি তার বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে। এখন দেখার বিষয়, সময় ও পরিস্থিতি তাকে কোন পথে নিয়ে যায়।
গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আর দেশে ফিরতে পারেননি। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজ দেশে বিদায়ী টেস্ট খেলার পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন হয়নি। কানপুর টেস্টের আগে অবসরের ঘোষণা দিলেও পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় সেটিও অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে।
তবে সাকিব জানিয়েছেন, তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সংস্করণ থেকেই অবসর নেননি। তার ইচ্ছা, দেশে ফিরে তিন ফরম্যাটের একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো।
তিনি বলেছেন, ভক্তরা যেভাবে তাকে ভালোবেসে সমর্থন দিয়ে এসেছেন, সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে তিনি ঘরের মাঠেই শেষবারের মতো খেলতে চান।
































