আগামী ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইপিএল ২০২৬-এর প্লেয়ার নিলাম। এ বছর মোট ১৩৫৫ জন ক্রিকেটার নিবন্ধন করলেও, বিস্তৃত যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়েছে মাত্র ৩৫০ জনকে। এই তালিকায় বাংলাদেশেরও রয়েছে সাতজন খেলোয়াড়।
ক্রিকবাজ জানায়, বিসিসিআই ইতোমধ্যেই সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে চূড়ান্ত সময়সূচি জানিয়েছে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হবে মিনি অকশন, যেখানে অংশ নেবেন নির্বাচিত ৩৫০ ক্রিকেটার।
এদের মধ্যে ২৪০ জন ভারতীয় এবং ১১০ জন বিদেশি খেলোয়াড়। মোট ৭৭টি স্লট এখনো খালি, যার মধ্যে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৩১। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাজেট রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে—তাদের হাতে রয়েছে ৬৪ কোটি ৩০ লাখ রুপি। তারা এখনও ৬ বিদেশিসহ সর্বোচ্চ ১৩ জন খেলোয়াড় দলে নিতে পারবে।
সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৪০ জন ক্রিকেটার। বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এই ক্যাটাগরিতে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান। গত মৌসুমে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন এবং আইপিএলে ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশের অন্য ছয় ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ লাখ রুপি। তাদের কেউই এখনো আইপিএলে খেলার সুযোগ পাননি।
নতুন অন্তর্ভুক্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ওপেনার কুইন্টন ডি কক রয়েছেন। আগের মেগা নিলামে তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি, তবে এবার তা কমিয়ে ১ কোটি রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তিনি সম্প্রতি আবারও মাঠে ফিরেছেন এবং ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি তুলে নিজের ফর্ম প্রমাণ করেছেন।
শ্রীলঙ্কার দলে নতুন মুখ হিসেবে আছেন ত্রাভিন ম্যাথু, বিনুরা ফার্নান্দো, কুশল পেরেরা ও দুনিথ ভেল্লালাগে।
বিসিসিআইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নিলাম শুরু হবে ক্যাপড ক্রিকেটারদের দিয়ে—যারা ব্যাটসম্যান, অলরাউন্ডার, উইকেটকিপার-ব্যাটার, পেসার এবং স্পিনারের ভাগে বিভক্ত। এরপর আনক্যাপডদের ডাকা হবে নিলামে।
তবে এবারের নিলামে বাংলাদেশের অন্যতম তারকা সাকিব আল হাসানকে না পাওয়া বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় চমক হিসেবেই দেখছেন।



































